চিহ্নিত নাশকতাকারীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৬, ২০২১, ০৭:৪৮ পিএম

চিহ্নিত নাশকতাকারীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চিহ্নিত নাশকতাকারীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে যারাই চিহ্নিত হবেন তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকার গঠিত কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানেই নাশকতা হবে আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। যারা নাশকতা করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে চিহ্নিত হবেন, দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে করে তারা এই ঘটনা সংগঠিত করার প্রয়াস না পান। দীর্ঘক্ষণের মিটিংয়ে এটাই ছিল আমাদের সিদ্ধান্ত।’

তিনি বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই আমরা এ মিটিংয়ের আয়োজন করেছি। আমরা দেখেছি বিনা অযুহাতে কয়েকজন নিরীহ লোক প্রাণ হারিয়েছেন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা মাদরাসার ছাত্রের চেয়ে সাধারণ মানুষ বেশি ছিলেন। আমরা কারও প্রাণহানি ঘটুক সেটাও চাইনা।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর অবস্থানে যাবো। প্রয়োজনে জেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। জেলা পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বসে যেখানে যা প্রয়োজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সে ব্যবস্থা করবেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় তা ঠেকাতে সরকারঘোষিত কঠোর নির্দেশনা মেনে চলতে জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে কোনও সিট খালি নেই। এমনকি অক্সিজেন যারা সরবরাহ করছে, তারাও অক্সিজেন দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা সবাইকে আহ্বান করবো- এই মহামারিতে সবাই যেন সহযোগিতা করেন এবং এগিয়ে আসেন। সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেয় সেটা পালন করুন।’

তিনি বলেন, ‘জোর করে ঘরে রাখার চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। মানুষ যেন কিছুদিন এই লকডাউন মেনে চলে এ লক্ষেই আগানো হচ্ছে। পাশাপাশি জনগণকে জোর করে ঘরে না ঢুকিয়ে বলে-কয়ে সচেতন করে ঘরে রাখার চেষ্টা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’

তিনি আরও বলেন ‘কয়েকটা দিন তো অপেক্ষা করতে হবে, ৫-৭ দিনই তো। গণপরিবহন, সভা-সমিতির মাধ্যমেই তো করোনা বেশি ছড়াচ্ছে। অফিস খোলা থাকলেও এটা বলা হয়েছে, গণপরিবহনের মাধ্যমে না এসে যার যার ব্যবস্থা সে সে করবে।’

Link copied!