রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় ড. রতন সিদ্দিকীর স্ত্রী ফাহমিদা হক কলি বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাসান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী ফাহমিদা হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুই-তিনশজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।এতে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গতদ, গতকাল শুক্রবার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ৬/এ নম্বর সড়কের বাসায় শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই অধ্যাপক ড, রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বরাত দিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকার একি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জুমার নামাজের পর শ দুয়েক মানুষ হামলা করল। তারা প্রথমে বলল, আমি ধর্মের অবমাননা করছি। তখন যখন আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, কোথায় করেছি? পরে তারা বলল, আমার স্ত্রী করেছে। তখন লোকজন আমার গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করল। কিন্তু পারেনি। তখন তারা বলল, ধর্ম অবমাননার জন্য ওদের কাছে, মানুষের কাছে আমার স্ত্রীকে মাফ চাইতে হবে। পরে তারা চিৎকার চেঁচামেচি করে।’
রতন সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা আমাকেই মারার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি গ্রিলের ভেতরে ছিলাম। পরে র্যাব পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।’
এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাসার সামনে একজন মোটরসাইকেল রেখে পাশের মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। তখন ওনারা গাড়ি নিয়ে বাসার গেটে আসেন। আর তাঁদের ড্রাইভার হর্ন দিয়েছিলেন। এই হর্নকে কেন্দ্র করে নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে তাঁদের একটু কথা-কাটাকাটি হয়।’
প্রসঙ্গত, ড. রতন সিদ্দিকী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। নাটকে অবদান রাখায় ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। তাঁর স্ত্রী ফাহমিদা হক কলিও একজন লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।