মার্চ ৯, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
রাজধানীর উত্তরা থেকে লুট হওয়া ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের টাকাভর্তি ৪টি ট্রাঙ্কের ৩টি উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, লুট হওয়া চারটি ট্রাঙ্কের মধ্যে তিনটি ট্রাঙ্ক উদ্ধার করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। তবে অভিযান শেষে আটককৃতদের পরিচয়সহ বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদও লুট হওয়া টাকা উদ্ধারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়ছেন।
তিনি জানান, “রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার লো মেরিডিয়ান হোটেলের আশপাশের এলাকা থেকে আমরা লুট হওয়া বেশিরভাগ টাকা উদ্ধার করেছি। এখনও অভিযান চলছে।”
কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মোট ৪ ট্রাঙ্ক টাকা লুট হয়েছিল। এর মধ্যে ৩ ট্রাঙ্ক উদ্ধার হয়েছে। এখনও গোনা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ৯ কোটি টাকার মতো উদ্ধার হয়েছে।”
ডাচ বাংলা ব্যাংক সূত্রে জানা যায়,মানি প্লান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিভিন্ন বুথে টাকা লোড করার দায়িত্ব পালন করে আসছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৬৫৭৯০ নম্বরের একটা নোয়া গাড়িতে করে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে সাভার ইপিজেডের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
গাড়িটিতে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিল। গাড়িটি মিরপুর ডিওএইচএস পার হয়ে মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে ১১ নম্বর ব্রিজ হয়ে যখন সামনের দিকে যাচ্ছিল, তখন পেছন থেকে একটি কালো কালারের মাইক্রোবাস গাড়িটির গতিরোধ করে।
এসময় তারা হর্ন দেওয়া নিয়ে কোম্পানির গাড়ির চালকের সঙ্গে ঝগড়া করে। পরে গাড়ির চালক এবং কোম্পানির সুপারভাইজরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে। ছিনতাইকারী দলের একজন ওই গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসেন। তিনি গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে সামনে দাঁড় করায়। ওই সময় গাড়িটিতে কোম্পানির একজন ম্যানেজার ছিলেন। তাকে গাড়ি থেকে নামায় এবং গাড়িতে থাকা টাকার চারটি ট্রাঙ্ক নামায়। কালো রংয়ের আরেকটি হায়েস গাড়িতে করে তারা সেই বাক্স নিয়ে চলে যায়।তারা গাড়িটি রাজউকের ভবনের পাশ দিয়ে ১৮ নম্বর সেক্টরের রাস্তা হয়ে সামনে থেকে ইউটার্ন করে ১০ নং সড়ক হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সেতু এলাকায় সোয়া ১১ কোটি টাকাসহ একটি মাইক্রোবাস ছিনতাই হওয়ার ঘটনা মানি প্লান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের লোকজন ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে বিস্তারিত জানায়। এরপরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং টাকা উদ্ধারে অভিযান চালানো শুরু করে।