মার্চ ১৩, ২০২৩, ০৩:৪৯ এএম
দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে ভিসামুক্ত চলাচল নিশ্চিত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন: শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি ভাগাভাগির দৃষ্টিভঙ্গি’।
সেমিনারে বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উঠে আসে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ফরেন সার্ভিস একাডেমির ডিরেক্টর মাশফি বিনতে শামস, ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি, ইনস্টিটিউট ফর ইন্টেগ্রেট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সভাপতি সোয়ামিম ওয়াগলে, বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন ।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভিসামুক্ত চলাচল চাই। এটি সম্ভব হলে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে।”
ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট এ দেশে এসেছিলেন। ওইসময় তিনি বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে ঢাকা-কাঠমান্ডু সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন এবং বাণিজ্য খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য খুব বেশি নয়। দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি বাণিজ্য হওয়া উচিত।”
সেমিনারে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, “বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে বাড়ছে। আঞ্চলিক ও বহুমুখী ফোরামেও দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। জ্বালানি সহযোগিতার লক্ষ্যে উভয় দেশই যেন লাভবান হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।”
তিনি বলেন, তিন হাজার নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছে। আর নেপাল বাংলাদেশিদের অন্যতম গন্তব্য। ২৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ২০২২ সালে নেপাল ভ্রমণ করেছে।