আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশে গত তিন বছরে দারিদ্র্য ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশে। প্রতি ৪ জনের একজন এখন উচ্চ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে বলে উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) প্রতিবেদনে।
সোমবার, ২৫ আগস্ট রাজধানীর এলজিইডি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরে পিপিআরসি। এসময় জানানো হয়, দেশের ১৮ শতাংশ পরিবার যেকোনো সময় গরিব হয়ে যেতে পারে।
সরকারি হিসেবে ২০২২ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ৫ দশমিক ৬। ২০২৫ সালে এসে অতি দারিদ্র্য হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫–এ। এর মানে হলো, গত তিন বছরের মধ্যে দেশের দারিদ্র্যের হার বেড়েছে।
৮ হাজার ৬৭টি পরিবারের ৩৩ হাজার ২০৭ জন ব্যক্তির মতামতের ভিত্তিতে এ গবেষণা পরিচালনা করে পিপিআরসি। এতে উঠে আসে, দেশে দারিদ্র্যের হার এখন প্রায় ২৮ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৭।
পিপিআরসির গবেষণা সহযোগী নামিরা শামীম বলেন, ‘৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। অন্যদিকে ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে বাস করছে। ৩ বছরে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ থেকে ২৭ দশমিক ৯২ শতাংশ হয়েছে।’
তিন বছরের ব্যবধানে শহরের পরিবারের মাসিক আয় কমেছে, কিন্তু খরচ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে গ্রামের পরিবারের গড় আয় কিছুটা বেড়েছে। পিপিআরসি বলছে, একটি পরিবারের মাসে গড়ে ১০ হাজার ৬১৪ টাকা বা মোট খরচের প্রায় ৫৫ শতাংশ চলে যায় খাবার কেনায়। এ ছাড়া শিক্ষায় ১ হাজার ৮২২ টাকা, চিকিৎসায় ১ হাজার ৫৫৬ টাকা খরচ হয়।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বটম ২০ পারসেন্ট ধরলেও খরচ আয়ের তুলনায় বেশি। বটম ৪০ শতাংশ ধরলেও কিন্তু খরচ আয়ের তুলনায় বেশি। মিডল ক্লাসেও কিন্তু খরচ আয়ের তুলনায় বেশি।’
শুধু জিডিপির ওপর আলোচনা সীমাবদ্ধ না রেখে সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিকের কল্যাণ নিয়ে আলোচনা বাড়ানোর পরামর্শ দেয় পিপিআরসি।