ছবি: সংগৃহীত
টানা তিন দিনে ৩৩ জেলেকে ধরে নিয়েছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে সবশেষ সোমবার দুপুরে সাত জেলেকে ট্রলার মাছসহ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার একই কায়দায় ১৪ এবং শনিবার আরও ১২ জনকে ধরে নিয়েছিল আরাকান আর্মি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “কয়েকদিন ধরে আরাকান আর্মি সদস্যরা বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ফেবার পথে বাংলাদেশি ট্রলারসহ জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।
“ওই এলাকায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।”
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকা থেকে সাত জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
তিনি বলেন, ট্রলারটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মোনাফের ছেলে উমর ছিদ্দিক। ট্রলারটিতে সাতজন মাঝিমাল্লা ছিলেন। তবে জেলেদের নাম জানাতে পারেননি তিনি।
ওই ট্রলারের একজন মাঝির বরাতে আবুল কালাম বলেন, স্পিডবোটে ধাওয়া করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন জেলেদের নিয়ে গেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। ধাওয়া করার সময় মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রলারের ওই মাঝি। এরপর ট্রলারসহ তাদেরকে মিয়ানমারের ফাতংজা খালের দিকে নিয়ে গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সোমবার পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৪৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জেলে এবং ২৭টি ট্রলার-নৌকা ফেরত আনা হয়েছে।