জুলাই ২১, ২০২২, ০৮:৩১ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বলব, তাদেরও দায়িত্ব আছে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে। অন্যান্য দলেরও যারা তাদেরকেও বলব, কারো কাছে যদি খবর থাকে যে বাংলাদেশের একটি মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন আছে- অবশ্যই আমাদের খবর দেবেন। দল-মত-নির্বিশেষে যে-ই গৃহহীন থাকবে- আমরা তাদেরকেই ঘর করে দেব, তাদের ঠিকানা দেব, তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেব।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। সেই বাংলাদেশের কোনো মানুষ যেন ঠিকানাবিহীন না থাকে। তাদের জীবনটা যেন সুন্দর হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই এই উদ্যোগটা জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার হাতে গড়া বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষের অন্তত একটা বসবাসের জায়গা করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এই আশ্রয়ণ।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান পাবে।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা-একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি জমির মালিকানাসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি, যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল হস্তান্তর হয় ৩২ হাজার ৯০৪টি। আজ হস্তান্তর হবে ২৬ হাজার ২২৯টি। এছাড়া আরও নির্মাণাধীন রয়েছে ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর।
ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা হয়।