পূর্ণ হলো নিমতলী ট্র্যাজেডির ১৩ বছর।
শনিবার (৩ জুন) নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী আউয়াল হোসেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘সেই সময়টা ছিল ভয়াবহ! হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছিলাম ছোট জায়গা এখানে পানি ঢুকতে পারছিল না সেই করুণ অভিজ্ঞতা চোখে দেখেছি। ১২৪ জন নিহত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন, কিছুক্ষণ পর পর ফোন করে খবর নিচ্ছিলেন সার্বিক পরিস্থিতির।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশ্চর্য হয়েছি প্রধানমন্ত্রী ভোরে আমাকে ফোন করে বললেন যারা দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আমি তাদের দেখতে আসব। উনি এসেছিলেন এবং বলেছিলেন এদের জন্য যা যা করার দরকার আমি করব। চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন চিকিৎসায় যেন কোনো ধরনের ত্রুটি না হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
প্রসঙ্গত, রাসায়নিকের গুদামে রক্ষিত দাহ্য পদার্থের কারণেই পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীতে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।
২০১০ সালে ৩ জুন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঝরে যায় ১২৪টি প্রাণ। ৫ জুন সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, যাঁরা দুর্ঘটনার দিন ইংল্যান্ড সফরে ছিলেন, তারা সেদিন ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে শোকসূচক কালো আর্মব্যান্ড পরিধান করে খেলায় অংশ নেন।