আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের আগে সামাজিকভাবে আলোচনা সাপেক্ষে পারস্পরিক সমঝোতায় রাজি জাপানি দুই শিশুর মা-বাবা। এখনও দিন, তারিখ এবং আলোচনায় বসার স্থান নির্ধারিত না হলেও খুব শিগগিরই সেই সুসংবাদ জানা যাবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিশু দুটির বাবা ইমরান শরিফ, মা নাকানো এরিকো এবং এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির। রাজধানীর তেজগাঁও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে উপস্থিত ইমরান-এরিকো দম্পতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তেজগাঁও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে উপস্থিত নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ৩১ আগস্ট দুই শিশুকে ফিরে পেতে হাইকোর্টে এরিকোর রিটের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে সামাজিকভাবে পারস্পরিক সমঝোতায় বিষয়টি সমাধান করার। শিশুর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের সামগ্রিক কল্যাণের স্বার্থে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে চাই। তিনি বলেন, এই ধরণের পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ার চেয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমঝোতায় সমাধান হওয়ার সংখ্যাই বেশি। তাই আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও যেকোনো সুন্দর সমাধানে আমরা রাজি আছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাকানো এরিকো জানান, তার সন্তানেরা এইখানে নিরাপদে আছেন। ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতা প্রশংসনীয়। যেহেতু ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার কোন ফাইভ স্টার হোটেল নয় এই নিরাপত্তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে সামাজিকভাবে পারস্পরিক সমঝোতায় সমাধানের বিষয়ে আইনজীবীর বক্তব্যকেও তিনি সমর্থন করেন।
তারপর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন দুই মেয়ের বাবা ইমরান শরিফ। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, তার সন্তানেরা এইখানে ভাল নেই। ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতে পারছে না,থাকতে কষ্ট হচ্ছে।
ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার প্রশংসা করে তিনি জানান, সন্তানদের ভালর জন্যে পারস্পরিক সমঝোতায় বসতে আমি রাজি আছি।
এর আগে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাপান থেকে নিজের দুই কন্যা সন্তানকে তাদের মা নাকানো এরিকোকে না জানিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরিফ। নিজের দুই সন্তানকে ফিরে পেতে জুলাই মাসে বাংলাদেশে এসে হাইকোর্টে রিট করেন এরিকো। রিট শুনানি শেষে দুই মেয়েকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সিআইডির ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।