স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৈরি করা ডেঙ্গু আক্রান্তদের তালিকাভুক্ত রোগীদের টেলিফোনে খবর নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে নগর ভবনের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে তিনি আক্রান্ত রোগীদের খোঁজখবর নেন।
একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মাকে ফোন করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আপনি কি দুর্জয়ের আম্মা বলছেন? ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র তাপস বলছিলাম। আপনার সন্তান এখন কেমন আছে? তাকে কি হাসপাতালে নিয়েছেন? আপনাদের বাসার ঠিকানাটি একটু দেওয়া যাবে? আপনাদের বাসার আশেপাশে হয়তো কোথাও লার্ভা আছে। এ কারণে হয়তো ডেঙ্গু হয়েছে।’
ফোন করার পর মেয়র তাপস ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ঠিকানা নিয়ে তাদের আশেপাশে এডিসের লার্ভা উৎসস্থল আছে কিনা তা দেখে এডিসের লার্ভা ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশনা দেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে।
করোনা সংকমণের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বুধবার (১১ আগস্ট) গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে চলতি বছর ওইদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ হাজার ১৯২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু শনাক্ত ২১৩ জনের মধ্যে ২৫ জন ঢাকার বাইরে এবং বাকীরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের ১১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৩৪ জনে।
এর আগে, জুলাই মাসে দুই হাজার ২৮৬ জন, জুন মাসে ২৭২ জন ও মে মাসে ৪৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৪১ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশকনিধন কর্মসূচিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যেসব ভবনে এডিস মশার লার্ভা ও মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে, সেসব ভবন মালিককে বিভিন্ন অঙ্কের আর্থিক জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।