সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ০২:৪৫ পিএম
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
পাশাপাশি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনকের ৭ই মার্চের ভাষণের আঙ্গুল উঁচানোর ভাস্কর্য স্থাপনের আদেশও দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত এক রিটের রায়ে হাইকোর্টে বেঞ্চ ও্ই আদেশ দেন বলে গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।
এর আগে, ২০২০ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে নিয়ে আসা উচিত। এখনকার প্রজন্মকে এই ভাষণ শোনানো উচিত। ঐতিহাসিক এই ভাষণের আধেয় জানানো উচিত। সাতই মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে আদালত এই অভিমত দেন।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই শুনানি হয়। সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেন্দ্রিক সরকারের পরিকল্পনা, ওখানে থাকা স্থাপনার বিষয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতো মৌখিক নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এক রিটের শুনানি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ করে সেখানে তার ভাস্কর্য এবং ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।