বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী ও অস্ত্র সরঞ্জাম নেবে জাতিসংঘ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৩, ২০২২, ০১:১১ এএম

বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী ও অস্ত্র সরঞ্জাম নেবে জাতিসংঘ

আফ্রিকার বিভিন্ন শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরো শান্তিরক্ষী ও অস্ত্র সরঞ্জাম নেবে জাতিসংঘ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ তথ্য জানান। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে অনুষ্ঠিত দশম পারমাণবিক বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) পর্যালোচনা সম্মেলনর ফাকে সাইড লাইন বৈঠক করেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। এ বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নেওয়ার অনুরোধ করলে  আন্তোনিও গুতেরেস  রাজি হন।

বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  আরও বলা হয়, বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম-সংক্রান্ত আলোচনাকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।  

বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগ প্রদানের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, অচিরেই আফ্রিকার বিভিন্ন শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী ও অস্ত্র সরঞ্জাম নেওয়া হবে।

এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক উচ্চ পদে আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য মহাসচিবের কাছে অনুরোধ জানান। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান এবং অব্যাহতভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কৃতজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ইউক্রেন যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গঠিত গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপে যোগ দিতে সম্মত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

জাতিসংঘ মহাসচিব ছাড়াও স্লোভেনিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানজা ফাজন, হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিজারতো এবং আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী সান্তিয়াগোক্যাফিরোর সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসব  বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থ-সংশ্নিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এদিকে দশম এনপিটি পর্যালোচনা সম্মেলনে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা আশা করি পারমাণবিক বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) দশম পর্যালোচনা সম্মেলন থেকে এমন সিদ্ধান্ত বের হয়ে আসবে, যা বিশ্বকে পারমানবিক অস্ত্রের হুমকি থেকে মুক্ত করতে চুক্তিটির সর্বজনীনতা এবং বাস্তবায়নকে আরও সহজতর করবে।

বাংলাদেশ ১৯৭৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এনপিটিতে যোগ দেয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি অনুমোদনকারী প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি।

Link copied!