এপ্রিল ১, ২০২২, ০৮:৫৮ পিএম
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হালনাগাদ করা ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশলের (আইপিএস) সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশলের যথেষ্ট সামঞ্জস্য আছে। যেহেতু দুই পক্ষই ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, বাংলাদেশ যে জায়গাগুলোতে কাজ করতে চায়, সেখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন এ তথ্য জানান।
গত মাসে ঢাকা সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইপিএসে অর্থনীতি, নিরাপত্তা, অন্তর্জাল (ইন্টারনেট) নিরাপত্তা, তথ্য যোগাযোগসহ সহযোগিতার নানা উপাদান রয়েছে। বাংলাদেশ যেখানেই চায়, সেখানেই কাজ করার সুযোগ আছে।
বাংলাদেশের মতো কোনো দেশ আইপিএসের কোনো উপাদানে সহযোগিতায় যুক্ত হলো, নিরাপত্তার মতো অন্য উপাদান থেকে দূরে থাকল—এই সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইপিএসে পাঁচটি (সহযোগিতার) উপাদান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইপিএসে সাতটি উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলোতে যথেষ্ট সামঞ্জস্য যেমন আছে, তেমনি দুই পক্ষের অগ্রাধিকারও প্রায় কাছাকাছি। ইইউ চায় ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর যেন স্বাধীন ও অবারিত থাকে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর অগ্রাধিকারে মিল আছে এবং বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে তারা একই ধরনের চিন্তা করে; তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। আর সব কটি উপাদান নিয়ে কাজ করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বাংলাদেশ যেখানে কাজ করতে চায়, সেখানে কাজ করার সুযোগ আছে।’