নীলফামারীতে একটি মুরগির খামারে বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে একটি চিতা বাঘের মৃত্যু হয়েছে, যেটি সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে এসেছিল বলে বন কর্মকর্তাদের ধারণা। নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার জানান, শুক্রবার সদর উপজেলার চওরাবড়গাছা ইউনিয়নের দলবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, মৃত প্রাণীটি যে একটি চিতা বাঘ, রংপুর বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা তা নিশ্চিত করেছেন। সেই বাঘের সঙ্গী আরেকটি চিতা বাঘ ওই এলাকায় আত্মগোপন করে আছে বলেও এলাকাবাসী ধারণা করছে। মৃত বাঘটি উদ্ধার করে বন বিভাগের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আরেকটি চিতাবাঘ আত্মগোপন করে থাকার শঙ্কায় এলাকার মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় পুলিশ প্রহরা বসানো হয়।
মুরগির খামার মালিক ওলিয়ার রহমান বলেন, খামারটিতে তিন হাজার মুরগি রয়েছে। গত এক মাস থেকে প্রতিরাতেই খামারে বন বিড়াল ও শিয়াল হামলা করে গড়ে ১০ থেকে ১৫টি করে মুরগি বের করে নিয়ে যাচ্ছিল। দুই সপ্তাহ আগে পুরো খামারটি জিআই তার দিয়ে ঘেরার পর বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করি। এতে ওই বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে পাঁচটি বনবিড়াল ও একটি শেয়ালের মৃত্যু হয়।”
ওলিয়ার রহমান বলেন, রাত ৩টার দিকে তার বাবা জানান, বড় একটা জন্তু খামারের বৈদ্যুতিক তারে আটক হয়েছে; আরেকটি বড় জন্তু বিকট শব্দে আহাজারি করছে। “খবর পেয়ে আমি ও আমার দুলাভাই খামারে গিয়ে দেখি খামারের বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মরে রয়েছে একটি চিতা বাঘ; আর সেখানে আরেকটি চিতা বাঘ আহাজারি করছে।”ওলিয়ার রহমান জানান, সকাল ৬টার দিকে মানুষের উপস্থিতি বাড়লে আহাজারিরত চিতা বাঘটি খামার সংলগ্ন ভুট্টা খেতে লুকিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ ও বন বিভাগের লোকজন এসে মৃত বাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। “এর আগে কখনও এলাকায় এমন বাঘ আছে আমি শুনিনি। হঠাৎ করে বাঘের দেখা পাওয়ায় আমিসহ এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছি।”