মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে শীর্ষ চার দেশের একটি বাংলাদেশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৩, ২০২২, ০৮:৫৬ এএম

মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে শীর্ষ চার দেশের একটি বাংলাদেশ

জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর দূষণের কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন কমছে। চাষের মাছের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা চলছে। এর মধ্যে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হিসেবে চারটি দেশ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও উগান্ডা হলো সেই চার দেশ। আর সামগ্রিকভাবে স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এবারও ভারত ও চীনের পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। চাষের মাছ উৎপাদনেও বাংলাদেশ একই অবস্থানে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রকাশিত বিশ্বের সামগ্রিক মৎস্যসম্পদবিষয়ক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। দুই বছর পরপর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার-২০২২’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়। 

যাতে দেখা যায়, বিশ্বে স্বাদুপানির মাছের ১১ শতাংশ এখন বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। স্বাদুপানির পাখনাযুক্ত মাছ (ফিনফিশ) উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এসব মাছের মধ্যে ইলিশও রয়েছে। বাংলাদেশে মুক্ত জলাশয় থেকে মোট ১৩ লাখ টন মাছ আহরণ করা হয়। এর মধ্যে ইলিশ প্রায় ছয় লাখ টন। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। পাখনাযুক্ত অন্য প্রধান সাতটি মাছ হচ্ছে রুই, কাতলা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, গ্রাসকার্প ও সিলভার কার্প। বিশ্বজুড়ে চাষের ক্ষেত্রে এই সাত মাছকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এফএওর প্রতিবেদনে অবশ্য বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে খুব বেশি সাফল্যের চিত্র উঠে আসেনি। এই খাতে বাংলাদেশ ২৮তম অবস্থানে রয়েছে। সামুদ্রিক মাছের উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশ হচ্ছে চীন, ইন্দোনেশিয়া, পেরু, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সমুদ্র থেকে ৬ লাখ ৭০ হাজার টন মাছ সংগ্রহ করে। আর শীর্ষ অবস্থানে থাকা চীন ১ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার টন সামুদ্রিক মাছ আহরণ করে।

 
Link copied!