জুলাই ৩, ২০২২, ০৬:৫২ পিএম
যুদ্ধাপরাধের কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্তৃক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি কেএম আমিনুল হক রজব আলীকে গ্রেফতারের পর রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফ করেছে র্যাব। র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, রজব আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিলো। কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ এলাকায় বাংলাদেশের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষকে হত্যাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণহত্যা, নির্যাতনসহ মনবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে। ভৈরবে একটি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় পাকিস্তানি ইসলামি ছাত্রসংঘ এর কলেজ শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রজব। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সে ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য এলাকায় 'আলবদর' বাহিনী গঠন করে এবং কিশোরগঞ্জ জেলার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে মানবতাবিরোধী নানা অপরাধ করেন।
শনিবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান থেকে আমিনুল হক রজব আলীকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালের পর থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ও কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। আমিনুল “আমি আলবদর বলছি” ও “দুই পলাশী দুই মীরজাফর” নামে দুইটি বই প্রকাশ করে। যেখানে সে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের শোকাবহ ১৫ আগস্টের দিনসহ সামগ্রিক বিষয়গুলো অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আত্মস্বীকৃতি হিসেবে নিজেকে “আলবদর কমান্ডার” দাবী করে। ২০১৪ সালে তার প্রকাশিত “দুই পলাশী দুই মীরজাফর” বইটি সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।