মানবাধিকার প্রতিবেদন: যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৭, ২০২২, ০৭:১৩ পিএম

মানবাধিকার প্রতিবেদন: যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নিয়ে ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার বিষয়ে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তার জন্য ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের ওপর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গত ১২ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে হত্যা, গুম ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলেও তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা করতে হয় না। এসব ঘটনায় খুবই কম সংখ্যক ক্ষেত্রে তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ নিয়ে থাকে বাংলাদেশ  সরকার।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুলিশ ও র‌্যাব ছাড়াও সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি  আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে থাকে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরে অধীনে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে বেসামরিক কর্তৃপক্ষ ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের ওপর নানা ধরণের নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে রবিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নাক গলানো আশা করে না সরকার। এই রিপোর্টে অনেক কিছু আছে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।”

গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে গত এক দশকে অনেক উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, “এর মধ্যে রয়েছে শ্রম খাত। অথচ পুরো রিপোর্টে এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য নেই।”

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  বলেন, “বাংলাদেশের কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা সরকার ভালো চোখে দেখবে না।বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করেছে। কিন্তু এখানেও সমস্যা তৈরি হতে পারে।” এ কারণে র‍্যাবের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিন্দা না করার জন্য অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

Link copied!