মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে ওয়াশিংটন-ঢাকা সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৮, ২০২২, ০৮:৪৬ পিএম

মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে ওয়াশিংটন-ঢাকা সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথে কথা বলে আমরা মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরি করি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে। তবে এই প্রতিবেদন দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।”

পিটার ডি হাস বলেন, “এ রিপোর্ট আমরা প্রতি বছর প্রকাশ করে থাকি। এজন্য আমরা অনেকের সঙ্গে কথা বলি। আমরা শুধু সেই তথ্যগুলোই দিয়ে থাকি যা অন্যদের কাছ থেকে পাই। বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে সব দেশের সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার পথ তৈরিতে এটা প্রস্তুত করা হয়, কোনো ধরনের অবস্থান চিহ্নিতের জন্য নয়।”

সাক্ষাৎকালে সালমান এফ রহমান জানান, জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, আগামী মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি কোম্পানির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে করবে যেখানে জ্বালানী ছাড়াও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের ১৯৮টি দেশের ২০২১ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে বাংলাদেশের বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ তোলে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গত ১২ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে হত্যা, গুম ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলেও তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা করতে হয় না। এসব ঘটনায় খুবই কম সংখ্যক ক্ষেত্রে তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ নিয়ে থাকে বাংলাদেশ  সরকার।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুলিশ ও র‌্যাব ছাড়াও সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি  আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে থাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরে অধীনে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে বেসামরিক কর্তৃপক্ষ ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের ওপর নানা ধরণের নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে।

তবে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রবিবার এক ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, তথ্য যাচাই না করেই প্রতিবেদন দেওয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে।

আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিবেদন বাংলাদেশের বাস্তবতা থেকে যোজন যোজন দূরে। এটি তৈরিতে দুর্বল সূত্র থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি প্রতিমন্ত্রীর।

Link copied!