দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার ও জীবনমানের উন্নয়ন নিশ্চিত করাসহ তাদের কল্যাণ কীভাবে করা যায় সেটাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগের বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমিতে আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের পর যারা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন, তাদের মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটি কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের জনগণ, তারা যেন কখনও সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্যই তো এই স্বাধীনতা।”
সরকারপ্রধান বলেন, “যখনই যে যেখানে দায়িত্ব পালন করবেন মানুষের কথা চিন্তা করবেন, যে এলাকায় কাজ করবেন. সে এলাকা সম্পর্কে জানতে হবে, সে এলাকার মানুষের আচার-আচরণ সম্পর্কে জানতে হবে। জীবন-জীবিকা সম্পর্কে জানতে হবে। কিভাবে তাদের উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে আপনাদেরই সবচেয়ে ভালো সুযোগ রয়েছে।”
দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থনীতি মজবুত হয়েছে। জাতিসংঘের যে চাহিদা সেটা মোতাবেক এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। তবে উন্নয়নশীলের মর্যাদা পেলেই হবে না।”
নিজেদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ দেশকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এই বাংলাদেশে একটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না, একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাবে, শিক্ষার সুযোগ পাবে, উন্নত জীবন পাবে। এটাই জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। ”
‘প্রধানমন্ত্রী হয়ে বড় কারাগারে আছি’
সরকারের নবীন কর্মকর্তাদের সামনে সশরীরে হাজির হতে না পারায় দুঃখপ্রকাশ করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, “অনেক সময় আমাকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে, বিশেষ জেলে থাকতে হয়েছে। সেগুলো ছিল সাব জেল, ছোট কারাগার। আর এখন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বড় কারাগারে আছি, এটুকুই বলতে পারি।সে জন্য সব জায়গায় যাতায়াতটা এত সীমিত, এত সীমাবদ্ধ যে সরাসরি আপনাদের কাছে আসতে পারলাম না, নিজের হাতে দিতে পারলাম না সনদগুলো। এটা দুঃখজনক।”