সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ০৬:১৬ পিএম
ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলা, স্টার জলসাসহ বিদেশী চ্যানেলগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোকে মূল ভিডিও (ক্লিন ফিড) ছাড়া বাংলাদেশে সম্প্রচার করতে দেবে না সরকার। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ে অ্যাটকো, চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর ও ক্যাবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বিদেশী চ্যানেলগুলো কোন নিয়মনীতি ছাড়াই চালানো হচ্ছে দেশে। এপ্রঙ্গে তথ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সম্প্রচারিত বিদেশী টিভি চ্যানেলগুলো আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড বা মূল ভিডিও চালাতে বাধ্য। কিন্তু বারবার তাগাদা দিলেও এসব চ্যানেল ক্লিন ফিড পাঠায়নি। তাই ৩০ সেপ্টেম্বরের পর দেশে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশী চ্যানেল চালাতে দেয়া হবে না। আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশে চ্যানেল আমাদের এখানে সম্প্রচার করতে পারে না।
মন্ত্রী জানান, এবছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের ক্যাবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেমকে ডিজিটালাইড করা হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে গ্রাহকদের পরিপত্র জারি করে জানিয়ে দেওয়া হবে। ১ ডিসেম্বরের পরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে শহরে পুরনো সিস্টেম আর কাজ করবে না। তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর ছাড়াও কুমিল্লা, বগুড়া, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজারকেও আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিজিটালাইজড করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও স্ট্রিমিং করে আন-অথরাইজড অনেক চ্যানেল দেখাচ্ছে। ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আইপি টিভি দেখানো হচ্ছে। এটা তারা কোনোভাবেই করতে পারে না। এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, একজনের ডোমেইনের মধ্যে আরেকজন প্রবেশ করছে। এটি নিয়ে আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়, টেলিকম বিভাগ ও আইসিটি বিভাগের সঙ্গে অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করবো। ক্লিন ফিড চলছে কিনা সেটি নিয়ে আমরা সারাদেশে এনফোর্সমেন্টে যাবো।
টেলিভিশন প্রযুক্তিতে ‘ক্লিন ফিড’ বলতে মূল ভিডিওকে বোঝায়। পরবর্তীতে এই ভিডিওতে গ্রাফিকস এবং টেক্সট যুক্ত করা হয়। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী ফিডে বিজ্ঞাপন ক্লিপ যুক্ত করতে পারে। তবে বাংলাদেশে বিদেশী চ্যানেলগুলো কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই এই বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য প্রচারণাসহই সম্প্রচারিত হচ্ছে।