দেশের প্রথম মেট্রোরেল পথের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আধুনিক মেট্রোরেল ব্যবস্থায় প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। মেট্রোরেলের ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-৬ লাইন চালু হলে দৈনিক যাতায়াতে যে সময় বাঁচবে তার আর্থিকমূল্য ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর ফলে বার্ষিক সাশ্রয় হবে তিন হাজার ৫৮ কোটি টাকা।
মেট্রোরেলের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলে চড়ে মাত্র ৪০ মিনিটেই রাজধানীর মতিঝিল থেকে উত্তরা যাওয়া যাবে। এসময় ১৪টি স্টেশনে ট্রেন থামবে। বর্তমানে সড়কপথে এই ২০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে লাগে অন্তত ২০৮ মিনিট সময়। এই হিসাবে পুরো রুটে যাত্রীদের সময় বাঁচবে ১৬৮ মিনিট।
এ ছাড়া, এমআরটি-৬ লাইন চালু হলে অন্যান্য যানবাহন পরিচালনার দৈনিক ব্যয় কমবে ১.১৮ কোটি টাকা। এই খাতে বার্ষিক ব্যয় সাশ্রয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল সেবা চালু হলে– তরল জ্বালানি ও গ্যাসে চালিত যানবাহনের সংখ্যাও সড়কে কমবে বলে দাবি করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। এর মাধ্যমে বার্ষিক কার্বন নিঃসরণ কমবে দুই লাখ টনেরও বেশি।