রাত পোহালেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু। পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। শনিবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
পূজা উদযাপনকে ঘিরে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক।
দেশে এবার ৩ হাজার ২৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এরমধ্যে রাজধানীতে ২৪২টি মণ্ডপ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মন্দির, ধানমন্ডি পূজামণ্ডপ ও বনানী সর্বজনীন পূজামণ্ডপকে বিশেষ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। ঢাকার বৃহত্তর মন্দির হলো সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, উত্তরা সর্বজনীন পূজামণ্ডপ, বসুন্ধরা সর্বজনীন পূজামণ্ডপ এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের পূজামণ্ডপ। এছাড়া ২ তারকা চিহ্নিত ৮৬টি পূজামণ্ডপ, এক তারকাবিশিষ্ট ৭৭টি এবং সাধারণ শ্রেণির ৬১টি পূজামণ্ডপ রয়েছে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও বনানী সর্বজনীন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, মঞ্চ তৈরি ও প্রতিমাকে কাপড় পরানোর কাজ শেষ হয়েছে। মন্দিরের চারপাশ সাজানো হয়েছে বাহারি নকশায়। মন্দিরের প্রধান ফটকসহ অন্যান্য জায়গাগুলোও বর্ণিল হয়ে সেজে উঠেছে।
জে এল ভৌমিক বলেন, সারা দেশের পূজা পণ্ডপগুলোতে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রাত পোহালেই আগামীকাল ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আগামী ৫ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য শেষ হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর চারটি বিশেষ মণ্ডপে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তার জন্য আর্চওয়ে থেকে শুরু করে সিসিটিভি ক্যামেরাসহ সবকিছু থাকবে।