ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০১:৪৯ এএম
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে আওয়া্মী লীগ। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন।
তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ বা মাথাব্যাথা নেই বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রবিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের দলের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধার বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করার উদ্দেশ্যে ওই সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।
তবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, “দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে তারা চিন্তিত নন, কারণ তাদের মূল ফোকাস এখন সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের দিকে।”
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দেওয়া সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, “এই সরকার কী করছে, না করছে- এসব বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
এসময় তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, আমাদের ১০ দফা দাবির প্রথমটাই হচ্ছে- এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।”
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি কে হলো তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই’।
এরও আগে, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠিতব্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। ওইসময় তিনি বলেন, “কোন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন? যার কোনও কিছু করার ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতির আসনটা সম্মানের, আমরা সম্মান করি, যিনিই রাষ্ট্রপতি আসুক। তিনি কি অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে গিয়ে আইন তৈরি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারবেন?”