রোহিঙ্গা সমস্যা: বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করবে জাতিসংঘ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৬, ২০২১, ১১:৫৬ পিএম

রোহিঙ্গা সমস্যা: বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করবে জাতিসংঘ

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। আগামী শনিবার (৯ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জাতিসংঘের পক্ষে ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ স্বাক্ষর করবেন। এই চুক্তির ফলে ভাসানচর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে কক্সবাজারের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে ইউএনএইচসিআর।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার ব্যাপারে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল জাতিসংঘের। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভাসানচর কতটা ঝুঁকিমুক্ত, রোহিঙ্গাদের ভাসানচর থেকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে চলাচল নিশ্চিত, তাদের স্বেচ্ছায় ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে কি না-এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন ছিল তাদের।

তবে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কাজ অব্যাহত রাখার একপর্যায়ে সেখানে একটি কারিগরি দল পাঠায় জাতিসংঘ। কাছাকাছি সময়ে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), ঢাকায় পশ্চিমাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের পর জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দুই সহকারী হাইকমিশনার ভাসানচর সফর করেন। এসব সফরের পর জাতিসংঘ ভাসানচর নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়।

এরপর চলতি বছরের জুনে ইউএনএইচসিআর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে রাজি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহসীন বলেন, শনিবার (৯ অক্টোবর) ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে সরকারের এই সমঝোতা স্মারক সই হবে। ভাসানচরে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নেওয়া হয়েছে। আরও ৮০ হাজার নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ইউএনএইচসিআর আগের মতোই কাজ করে যাবে, এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক হবে।

চলতি মাসের শেষ দিকে বাকী ৮০ হাজার রোহিঙ্গা স্থানান্তরের কাজ শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভাসানচরে ১ লাখের অ্যাকোমোডেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে এবং তারও আগে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে এখন ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের এই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, যেখানে আপাতত এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Link copied!