রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে সহায়তা কর‌বে ভারত: শ্রিংলা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৬, ২০২১, ১০:০০ এএম

রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে সহায়তা কর‌বে ভারত: শ্রিংলা

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে টেকসই উপায়ে ফেরত পাঠাতে ভারত সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের  সম্পর্ক চীন বা অন্য কোনও দেশের সঙ্গে তুলনীয় নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স‌ঙ্গে ঢাকায় সফররত ভার‌তের রাষ্ট্রপ‌তির বৈঠ‌কের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) টেকসই উপায়ে ফেরত পাঠাতে সহায়তা করবে ভারত। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়ের বন্ধু ভারত। তাই এ বিষয়ে উভয় দেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ্রিংলা বলেন, ‍ভার‌তের নেতারা সফরকা‌লে বি‌ভিন্ন দ‌লের স‌ঙ্গে সাধারণত বৈঠক ক‌রেন। কিন্তু এবা‌র ভার‌তের রাষ্ট্রপ‌তির সফর বিজ‌য়ের ৫০ বছর উদযাপন উপল‌ক্ষে। তাই এবা‌রের সফ‌রের ফোকাস সেখা‌নে রাখ‌তে হ‌চ্ছে। এবার বিরোধী দ‌লের স‌ঙ্গে বৈঠ‌কের কোনো কর্মসূ‌চি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রিংলা অবশ্য স্মরণ করিয়ে দেন যে, ২০১৩ সালে তৎকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচী থাকলেও বিরোধী দল সাক্ষাত করেনি।

ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উচ্চমাত্রায় পৌঁ‌ছে গে‌ছে উল্লেখ করে শ্রিংলা অআরো বলেন, ‍ দু’দে‌শের ম‌ধ্যে সম্প‌র্কের সোনালী অধ্যায় চল‌ছে।বাংলাদেশ এবং ভারত অনেক ধরনের বন্ধনে আবদ্ধ, চীন বা অন্য কোনও দেশের সঙ্গে এই সম্পর্ক তুলনীয় নয়।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে অন্যেদর মধ্যে  ঢাকায় নিযুক্ত ভার‌তের হাইক‌মিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

শ্রিংলা অবশ্য স্মরণ করিয়ে দেন যে, ২০১৩ সালে তৎকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচী থাকলেও বিরোধী দল সাক্ষাত করেনি। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের মার্চে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ঢাকা সফরে এলে তখনকার সময়ে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানোনো হয়। কিন্তু তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি খালেদা জিয়া। দুই বছর পর ২০১৫ সালে ভারতের দ্য সানডে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া প্রণবের সঙ্গে সাক্ষাত না করার কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‌‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অপরাধে তিন শীর্ষ নেতাকে সাজা দেওয়ায় জামায়াতে ইসলামী তখন ধর্মঘট ডেকেছিল। তখন আমি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎটি বাতিল করেছিলাম এ জন্য যে আমাদের কাছে তথ্য ছিল, তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে আমার ওপর হামলা হবে। সেটা আমার জীবনের জন্য হুমকিও হতে পারে।’

Link copied!