রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ঢাকা-মস্কো একসাথে কাজ করবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৭, ২০২১, ০৫:১৯ পিএম

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ঢাকা-মস্কো একসাথে কাজ করবে

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে দেশেটির রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের সাথে একসাথে কাজ করবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে অনুষ্ঠিত মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া:আঞ্চলিক যোগাযোগ-চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটিতে সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.  এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ জুলাই) সাইডলাইন বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইডলাইন বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ আসছে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশে দুটি পরমাণু প্রকল্পের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতিও পুনব্যক্ত করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ড. আব্দুল মোমেন।  করোনার টিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশের সব দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, বিশেষ করে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাশিয়া সরাসরি সমর্থন দেওয়ায় তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

সাইডলাইন বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গাদের নিজ জন্মভূমি মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য রাশিয়াকে সক্রিয় ও ফলপ্রসু উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। বৈঠকে এই ইস্যুতে একসাথে কাজ করতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মত হন।  

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানেমারকে প্রতিনিয়ত উৎ]সাহিত করবে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ।

উল্লেখ্য দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ১৪ জুলাই উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন।

মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিবহন ও লজিস্টিক, জ্বালানি, বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থে বহুপাক্ষিক আলোচনার জন্য রাজনৈতিক ও কৌশলগত মডেল তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োয়েভের উদ্যোগে ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আযোজন করা হয়।

Link copied!