এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৪:২০ এএম
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নিয়ে জার্মানিভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনকে ‘হাসির খোরাক’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সাখে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সোমবার ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে র্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এটি হাসির খোরাক আরকি। তারা (র্যাব) রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে না। নিরাপত্তার উদ্দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে র্যাব।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটি হাসির খোরাক আরকি। র্যাব রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে না, নিরাপত্তার উদ্দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে ।“
বৈঠকে জাতিসংঘের সহযোগিতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের কোনও সহযোগিতা চায় না বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের কোনও সহযোগিতা আমাদের নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ আমরা যথেষ্ট পরিপক্ব। নির্বাচন করার জন্য যেসব ইনস্টিটিউশন দরকার, সুন্দর, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেই ইনস্টিটিউশন আমরা মোটামুটি তৈরি করেছি।”
এসময় মোমেন আরও বলেন, “আমরা স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করেছি। বায়োমেট্রিক ভোটার তালিকা, যাতে কোনও ধরনের ফ্রড বা ভুয়া ভোট না হয়। আমরা একটা শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছি। তারা যথেষ্ট সক্ষমতা রাখে। সেজন্য আমাদের অন্যদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই।”
প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেফতার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা বলেছি আমাদের তথ্যমতে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন; শিশুকে ব্যবহার করার জন্য। শিশুকে নির্যাতন করেছেন, অপব্যবহার (অ্যাবিউজ) করেছেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, “দ্বিতীয় ইস্যু হলো, তিনি আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে তামাশা করেছেন। আমাদের চেতনার সবচেয়ে বড় ধন স্বাধীনতা। ওটা নিয়ে তামাশা করবেন, তা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করবে না।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিকের নাম দিয়ে অপরাধ করবেন, এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে পাবে। সাংবাদিক হলেও অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চাই, কিন্তু কেউ অপরাধ করে পার পাবেন না।”