পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ। লকডাউন চলমান থাকায় দূরপাল্লার পরিবহন ও আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তারপরও ভ্যান, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং, পিকআপভ্যানসহ যেভাবে পারে জনগণ ছুটছে পরিবারের কাছে।
ঈদের আগের দিনও (১৩ মে) দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে যেতে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ফেরিঘাটে আসার পথে স্থানে স্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চেকপোস্ট, পুলিশী টহল কোনো কিছুই এই জনস্রোত থামাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঈদকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার মানুষের জনস্রোতের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। শেষদিনেও সকাল থেকে হাজারো যাত্রী ঘাটে এসে ভিড় করছেন। এদিকে পরিবহন পারাপারের ঘোষণায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও ছিল উল্লেখ করার মতো।
এ বিষয়ে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হিলাল আহমেদ গণমাধমে বলেন, ‘ঘাট এলাকায় বর্তমানে দুই শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট-গাড়ি ও ১৫০টি ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রী চলাচল ও ঘাট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।’
স্থানীয় ও নৌপুলিশ সূত্র জানায়, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া শাখা সূত্রে জানা যায়,যাত্রী আর যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে।
সকালে শিমুলিয় ফেরিঘাটে প্রবেশের সবগুলো পথেই মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। যানবাহন বন্ধ থাকায় দীর্ঘ কিলোমিটার পথ শুধুমাত্র হেঁটে হেঁটেই ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন অনেক যাত্রী। গত কয়েকদিনের চেয়ে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রী-যানবাহনকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উঠানোর কারণে আগের চেয়ে পন্টুনে জটলা ও ভোগান্তি কমে এসেছে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির দ্য রিপোর্টকে বলেন,‘ আজও (বৃহস্পতিবার) হাজারো মানুষ ফেরিতে নদী পার হওয়ার জন্য ঘাটে এসেছেন। আমরা চেষ্টা করছি জনগণের ভোগান্তি যাতে কম হয়। এজন্য যাত্রীদের লাইন দিয়ে ফেরিতে ওঠানো হচ্ছে।’