অক্টোবর ২৫, ২০২২, ১২:১০ এএম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে ঝড়ের তাণ্ডব ও প্রবল বর্ষণ। রাজধানীতেও সকাল থেকেই বিরামহীন বৃষ্টি। সন্ধ্যা হতেই বেড়ে যায় বাতাসের বেগও। এই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি, যানবাহন স্বল্পতা ও জলাবদ্ধতার কারণে অফিস-ফেরত নাগরিকদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। গাড়ি-ঘোড়ার সংকট, অটোরিকসা বিকল হয়ে যাওয়াসহ নানা বিড়ম্বনায় নগরবাসীর দুর্ভোগ ছিল অসহনীয়।
ড্রেনেজ সিস্টেমের ব্লকেজের কারণে রাজধানীর প্রায় সবগুলো প্রধান সড়কেই পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত সড়ক গুলিস্তানে বড় একটি গাছ মাঝ থেকে ভেঙে রাস্তায় পড়ে যায়। গাছটি কেটে সরিয়ে নিতে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম কাজ করছে।
কাওরান বাজার এলাকায় হাঁটুপানিতেই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় অফিসফেরত নগরবাসীকে।
যাত্রীদের অভিযোগ, বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় সড়কে গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। বাসগুলোও হাফ রাস্তা গিয়ে নামিয়ে দিচ্ছে। সিএনজি বা রিকশা ভাড়া বাড়িয়ে দিলেও যেতে রাজি হচ্ছে না।
যাত্রাবাড়ি যেতে চাওয়া এক যাত্রী জানান, যাত্রাবাড়ি রুটের সবগুলো গাড়িই গুলিস্তানের পর আর যাবে না বলে লোক নিচ্ছে না।
ভাড়া বাড়িয়ে দিতে চাইলেও সিএনজিচালক যেতে রাজি না হয়ে বলেন, প্রায় সব রাস্তায় হাঁটুপানি। এই পানিতে নামলে পানি ঢুকে মাঝরাস্তায় সিএনজি বন্ধ হয়ে যায়। জীবনে বেঁচে থাকলে অনেক টাকা কামানো যাবে কিন্তু এখন এই অবস্থায় সিএনজি নিয়ে যাওয়া সম্ভব না।
মিরপুর ১০ গোল চত্বর স্ট্যান্ডে উত্তরা যেতে যানবাহনের খোঁজে থাকা এক দম্পতি জানান, তিন মাস আগে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া ছিল বলে এই আবহাওয়ায় আসতে হয়েছে। এখন বাস, সিএনজি কিছুই যেতে রাজি হচ্ছে না।
২০ টাকার ভাড়ার রাস্তায় ১০০ টাকা দেয়ার কথা বলে রিকশা চালককে যেতে রাজি করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক নারীযাত্রী।
রাত ১১টার দিকেও হাতিরঝিল এলাকাতে হাঁটুপানি ডিঙিয়ে ঘরে ফিরতে দেখা যায় অনেককে।
রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডিএনডি স্যুয়ারেজ খালের পানি উপচে শ্যামপুর এলাকার পাকা সড়ক হাঁটুপানিতে ডুবে আছে।