বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্বামীর কাছ থেকে নিজের দুই সন্তানকে ফিরে পেতে আদালতের কাছে শরণাপন্ন হয়েছেন ডা. নাকানো এরিকো নামে এক জাপানি নারী। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) এরিকোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
পেশায় চিকিৎসক ওই জাপানি নারীর আইনজীবী শিশির মনির জানান, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইন অনুসারে বিয়ে করে তারা টোকিওতে বাসবাস শুরু করেন। সংসারে তিনটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।’
শিশির মনির জানান, এরিকো ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি স্বামী শরীফ ইমরানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) আবেদন করেন। ২৫ জানুয়ারি ইমরান স্ত্রী এরিকোর কাছ থেকে বাচ্চাদের পাসপোর্ট ফেরত চাইলে এরিকো তা দিতে অস্বীকার করেন। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান তার মেয়েদের জন্য আবেদন করে ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
শিশির মনির আরও জানান, গত ৩১ মে টোকিওর পারিবারিক আদালত এরিকোর অনুকূলে জেসমিন ও লিনার জিম্মা হস্তান্তরের আদেশ দেন। ছোট মেয়ে সানিয়া হেনাকে মায়ের কাছে রেখে ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলংকা হয়ে বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু ইমরান শ্রীলংকা থেকে এরিকোকে ফিরে যেতে বলেন। এরিকো তার কথায় সাড়া না দিয়ে বাংলাদেশে এসে কোভিড পরীক্ষা করান এবং এর ফলাফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু ইমরান কোভিডের ফলাফল অবিশ্বাস করে এরিকোর সঙ্গে সন্তানদের সাক্ষাতে অস্বীকৃতি জানান। অবশেষে ২৭ জুলাই মোবাইল সংযোগ বন্ধ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় এরিকোকে তার মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয় এবং একই অবস্থায় তাদের গাড়িতে তাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় এরিকো সন্তানদের নিজের জিম্মায় চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বলে আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছেন।