দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিন্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ শেষে আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কেউ টিকা না নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করলেই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী গণমাধ্যমে এ কথা বলেন। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চলমান কঠোর লকডাউনের সময়সীমা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কম সময়ে বেশি সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে আগামী ৭ আগস্ট থেকে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যেমে ৬ দিনে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৬দিনে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ রাস্তায় বের হলেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দরকার হলে এ ব্যাপারে অধ্যাদেশ জারি করেও শাস্তি দেওয়া হতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেবো, কারণ বৃদ্ধ লোককদের মৃতুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলাপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবে না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। তবে কোরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। একই বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৩ জুলাই থেকে সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও রপ্তানিমুখী শিল্প ও কলকারখানাগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।