আলোচিত অভিনেতা আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গড়মিল থাকায় দুটি আসনেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম তার মনোনয়নপত্রের সাথে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক যে তালিকা দাখিল করেছিলেন, সেখানে গড়মিল পাওয়া গেছে।
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন হিরো আলম। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় সমর্থকদের সঙ্গে তার বাবাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া নিয়ে হিরো আলম বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যেভাবে ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল, একইভাবে এবারের উপনির্বাচনেও কোনো কারণ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। সেখানে ন্যায়বিচার না পেলে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে যাব। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম এক সময় ডিশ সংযোগের ব্যবসা ও সিডি বিক্রি করতেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মডেলিং পেশায় নিয়োজিত হন। এরপর নিজের অভিনয় ও মিউজিক ভিডিও গান রেকর্ড করে ডিশে প্রচার করতে থাকেন।
এতে জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হওয়ায় সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা হিরো আলম বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নেন। পরপর দুইবার সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে অভিনয় ও মিউজিক ভিডিও আপলোড করে আলোচনায় আসেন।
গত ২০১৮ সালে বগুড়া-৪ আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন হিরো আলম। সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৩৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন তিনি। নির্বাচনে তিনি জামানত হারান।