২০ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি ১০ গুণ করা কঠিন কিছু নয়: চীনা রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৩, ২০২৩, ০১:০৮ এএম

২০ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি ১০ গুণ করা কঠিন কিছু নয়: চীনা রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় চীন দূতাবাসের আয়োজনে ‘চায়না-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ : বিল্ডিং স্ট্রংগার কমিউনিটিজ টুগেদার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির বিষয়ে আবারও ইতিবাচক মতামত প্রকাশ করল চীন। চীন মনে করে, বাংলাদেশের জিডিপি দ্রুতই বাড়ানো সম্ভব। যেমনটা মনে করছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ওয়েন বলেন, দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ১০ গুণ বাড়ানোর লক্ষ্য অনেকের কাছে কঠিন ঠেকলেও সে চিন্তা অবাস্তব নয়। 

রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে চীনা দূত আরও বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি উন্নত দেশের সমান করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছু লোক মনে করে, এই লক্ষ্য অর্জন বেশ কঠিন। কিন্তু আমি তাদেরকে বলি, চীন যদি মাত্র ১৭ বছরে মাথাপিছু জিডিপি ১০ গুণ বাড়াতে পারে— ২০০০ থেকে ২০১৭ সালে, তাহলে বাংলাদেশ ২০ বছরে জিডিপি ১০ গুণ বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জন করতে কেন পারবে না?

জিডিপি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্য অর্জনের মধ্য দিয়ে ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন অর্জনে চীন সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন রাষ্ট্রদূত।

ঢাকায় চীন দূতাবাসের আয়োজনে ‘চায়না-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ : বিল্ডিং স্ট্রংগার কমিউনিটিজ টুগেদার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে কাজ করা আড়াইশর বেশি চীনা কোম্পানির নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির উপর একটি প্রতিবেদনও তুলে ধরা হয়।

দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা আরও বাড়ানোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর্যায়ে থাকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের উপর গুরুত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

টিপু মুনশি জানান, এফটিএ করার বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ২০১৬ সালে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এরপর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের টার্ম অব রেফারেন্স চূড়ান্ত করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এফটিএ সই করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার সুযোগ তৈরি করেছে, এখন ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে তার উপকার ভোগ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে চীনা কোম্পানিগুলোর নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির উপর একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সভাপতি কু চাংলিয়াং।

ওই অনুষ্ঠানে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা এবং সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে ৬ জন বাংলাদেশিকে ‘চায়না-বাংলাদেশ অ্যাম্বাসেডর ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।

Link copied!