গুলিস্তান এলাকার সিদ্দিক বাজারের ক্যাফে কুইন ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর পাওয়া গেলো কম্পিউটার অপারেটর রবিন মিয়ার নিথর দেহ। রবিন আনিকা সেনেটারিতে সদ্য চাকুরিতে যোগদান করেছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় রবিনসহ মোট দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে আজ। বাকিজন আনিকা সেনেটারির মালিক সুমন হোসেনের (৪০)। আজ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ নিয়ে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ জনে।
গতকাল থেকেই রবিনের খালাতো খালাতো ভাই আজিজুল তাঁর খোঁজে নানা হাসপাতালে ছুটছিলেন। পরে তার খোঁজ মিলল ধ্বংসস্তুপে। আজিজুল বলেন, এ মাসেই কাজে জয়েন করেছিল রবিন। কম্পিউটারে বিল ও চালান তৈরি করাই ছিল তার কাজ।
প্রচণ্ড বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয় ভবনটি। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ
বুধবার সকাল থেকেই ধসে যাওয়া ভবনের নিচের মালামাল সরাতে শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জানা যায়, যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে রাস্তার পাশেই ভবনটির একতলায় সবচে বড় ও প্রথম দোকানটিই ছিল আনিকা সেনেটারি। দোকানটির মালিক সুমন হোসেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তিনি দোকানে ছিলেন। দোকানে ছিলেন তাঁর কর্মী কম্পিউটার অপারেটর রবিন মিয়া। বিস্ফোরণের ঘটনার পর দুজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ তাঁদের দুজনেরই মরদেহ মিলেছে।
গতকাল সুমনের বন্ধু জাবেদ উৎকণ্ঠা নিয়ে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেছিলেন, ছোটবেলা থেকেই একসাথে বড় হইছি আমরা। অনেক ভালো ছেলে সে। এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। সদা হাস্যোজ্জ্বল বন্ধু আমার। আজ সকাল থেকে দোকানে অনেক কাস্টমারের ভিড় ছিল। দুপুরেও ফোনে সে এই কথাই বলছিল। রাতে দেখা হবে বলেছিল আমাকে। আর এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজই পাচ্ছি না।
ইনসেটে আনিকা সেনেটারির মালিক সুমন হোসেন (৪০)। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিক বাজারে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে ওই ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ভবনের দেওয়াল ও গ্লাস ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।