আগস্ট ১৩, ২০২১, ১২:১৬ পিএম
সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেয়ার পর এবার এনটিটিএন ও আইআইজির ট্যারিফও নির্ধারণ করে দিয়েছে বিটিঅরসি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর হতে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য সকল ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি), বেসরকারি ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এর এই ট্যারিফ কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বিটিআরসির এক অনুষ্ঠানে এই ট্যারিফের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এতে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ।
নতুন ট্যারিফের আওতায় এনটিটিএন অপারেটরদের সকল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৬ টি সেবার প্রতি এমবিপিএস ডাটার ট্রান্সমিশনের জন্য ১৩ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, জেলা থেকে জেলায় ১৫টি সেবার জন্য ১৩ টাকা থেকে ৩০০ টাকা এবং দূরবর্তী অঞ্চলের ১৫টি সেবার জন্য ২৫ থেকে ৫০০ টাকা ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানাসহ গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখা শর্তে কোয়ালিটি অব সার্ভিস এবং কোয়ালিটি অব এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে এ, বি, সি, ডি, ই পাঁচটি গ্রেড চালু করা হয়েছে।
বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ টি সেবার জন্য সারাদেশে ট্রান্সমিশন ব্যয়সহ ৩৩০ টাকা থেকে ৩৯৯ টাকা ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানাসহ গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখা শর্তে কোয়ালিটি অব সার্ভিস এবং কোয়ালিটি অব এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে এ, বি, সি তিনটি গ্রেড চালু করা হয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে আইএসপি সেবার ক্ষেত্রে গত ৬ জুন তারিখ হতে প্রান্তিক পর্যায়ের জন্য নির্ধারিত ট্যারিফ চালু রয়েছে। এক্ষেত্রেও গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানাসহ গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখা শর্তে কোয়ালিটি অব সার্ভিস এবং কোয়ালিটি অব এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে এ, বি, সি তিনটি গ্রেড রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইতোমধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য ‘এক দেশ এক রেট’ চালু করা হয়েছে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা পৌঁছাতে আইএসপির পাশাপাশি আইআইজি এবং এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাই তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই ট্যারিফ নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে জানিয়ে মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রেও শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিটিআরসির প্রতি আহবান জানান তিনি।