ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “বন্দরের সেবা কার্যক্রম পেপারলেস করার লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে যাবে। ‘হিরো’ পোর্ট হয়ে যাবে। বন্দরটি যেন কোনও সংকটে না পড়ে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলায় ভোমরা স্থল বন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, “প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখতে ভূমিকা রাখবে প্রকল্পটি। গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের অর্থায়নে নির্মিত এই প্রকল্প ব্যবসাবান্ধব হলেও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশের নিয়ন্ত্রণ না নিলে এই চ্যালেঞ্জগুলো থাকত না।”
তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন বলে সড়ক, রেল, আকাশ ও নৌপথসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান নৌ-প্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ বলেন, “দেশকে টেনে ধরার জন্য অনেকে ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাহসের সাথে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করছেন। তিনি দেশ বিক্রি করতে চাইলে স্থলবন্দর করতেন না। তার হাত ধরেই উন্নয়ন সম্ভব।”
আওয়ামী লীগ শাসনামলেই মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর, পায়রা বন্দরসহ মোংলা বন্দরকে লাভজনক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এসব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থায় ‘সি’ ক্যাটাগরিতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন এমপি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সুইসকন্ট্র্যাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডাইরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডাইরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের ডাইরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাং ও এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক এইচ আর মাকসুদ খান।