মে ১৯, ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অর্থনৈতিক সংস্কারে সরকারের আমলাতন্ত্রে স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাব দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
সোমবার, ১৯ মে রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেট নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় বিএনপি নেতা আমির খসরু মন্তব্য করেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে গতি ফিরবে না।
দেশে দীর্ঘ সময় ধরে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম। বাড়ছে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার। বিনিয়োগে স্থবিরতা থাকায় চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নিচে থাকবে। আগামী বছরও প্রবৃদ্ধির চাকা মন্থর থাকতে পারে।
নীতি সংস্কার ও বাজেট নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম আয়োজিত এ মতবিনিময়ে আলোচকরা বলেন, সামনের বছরও কর-জিডিপি অনুপাত থাকবে ১০ ভাগের নিচে।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘একটা বাজেট তৈরির জন্য যে পরিমাণে এবং সরকারের জন্য যে পরিমাণে মন খুলে আলাপ আলোচনা করা, সেটা দেখতে পাচ্ছি না। অর্থনৈতিক স্বস্তি দিলে কিন্তু সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা তখন অবস্থান নিতে পারেন। বাংলাদেশে যেটা আমরা বলছি যে, এই মুহূর্তে অর্থনীতিতে সেই মনোযোগটা নাই। সমন্বয়ের অভাব, স্বচ্ছতার অভাব ইত্যাদি কারণে।’
আলোচকরা বলেন, সুদ, ভর্তুকি এবং বেতন ভাতায় পরিচালন বাজেটের বড় অংশ ব্যয় হবে। তাই উন্নয়ন ব্যয় পুরোটাই ঋণ নির্ভর। এ অবস্থা থেকে বের হতে রাজস্ব বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর কার্যক্রমে অর্থ বরাদ্দের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কিন্তু অনেক ফরেন্সিক ইনভেস্টিগেশনের দরকার হবে, অর্থায়ন সেখানে রাখতে হবে। আর যেটা, যারা নাকি এই প্রতিষ্ঠানগুলো আছেন, আমরা অনেক সময় দেখেছি, জনবল ও লোকবলের অভাবে বাজেটে বরাদ্দ না থাকার কারণে তারা ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।’
মতবিনিময়ে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু অভিযোগ করেন, নির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে বর্তমান সরকার মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়ে খুবই স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যা তাদের কাজ নয়।
আমির খসরু বলেন, ‘জনগণ যে, বিজনেস ডিসিশন হোক, ইনডিভিজ্যুয়াল ডিসিশন হোক, বাইরের যারা আছে আমাদের পার্টনার–তাদের ডিসিশন হোক, সবকিছু কিন্তু নির্ভর করছে, আগামী দিনে তাদের সার্টেইনিটি কোথায় যাবে তার ওপর। বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? কেউ জানে না।’
আলোচকরা বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি ও ভুল নীতি শোধরাতে হবে। কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না। সিদ্ধান্তহীনতায় ২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ নিয়েও শঙ্কা তাদের।