মশলার বাজার গরম, কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৯:২২ পিএম

মশলার বাজার গরম, কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম

ছবি: সংগৃহীত

রোজার মধ্যভাগে এসে কমতে শুধু করেছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম। তবে গরম হয়ে উঠেছে মশলার বাজার। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে জানা গেল জিরা ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় সব মশলার দামই কিছুটা বাড়তি। তবে এলাচের দাম অনেকটাই বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। ঈদের আগে এসব মশলার দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

একজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মশলার দাম এমনিতেই বাড়তি। কারওয়ান বাজারে ১৮০০-১৯০০ টাকার এলাচ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকায়। যেই গোল মরিচ কেজিতে ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতো, তা ৮০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। ১৪০০ টাকার লবঙ্গ ১৬০০ টাকা। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০-৫০০ টাকায়। তবে জিরার দাম কিছুটা কমেছে। হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া জিরা কমে দাড়িয়েছে ৭৫০ টাকায়।জয়ফল জয়ত্রীসহ অন্যান্য মশলার দাম আগের মতো স্বাভাবিক, তবে ঈদের আগে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন এই বিক্রেতা।

তিনি জানান, যখন মশলার চাহিদা যখন বাড়ে তখন সরবরাহ থাকলেও দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বাজার তদারকি করা না হলে মশলার দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরেকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মশলার দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। গরীব মানুষ মশলা কিনে খেতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।

বাজারে একজন ক্রেতা জানান, ঈদের আগে মশলার দাম বাড়বে এটা জানা কথা। মশলার দাম বাড়লে কম করে কিনতে হয়। তাই মশলার দাম কমলে সর্বস্তরের মানুষের জন্য সুবিধা হতো বলে তিনি জানান। অন্য একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানান, বিক্রেতাদের দোষ নয়। বরং মশলার বাজারে সিন্ডিকেট রয়েছে বলেই হঠাৎ করে দাম বাড়ে।

পক্ষান্তরে পেঁয়াজ, রসুনের দাম রোজার মধ্যভাগে এসে অনেকটাই কমে এসেছে। এক বিক্রেতা জানান, চাহিদা কমে যাওয়ায় পানির দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ টাকায়। এদিকে রসুন কেজি প্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৬০ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আদার দাম এখনও কিছুটা বাড়তি। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।

পেঁয়াজ, রসুনের দাম নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। তবে বেশি দামে মশলা কিনতে হচ্ছে বলে, ঈদের আগে দাম কিছুটা কমিয়ে আনা হোক; এমনটাই আশা সবার। একজন ক্রেতা জানান, পেঁয়াজ এখন ক্রয় সীমার মধ্যে থাকলেও মশলার গায়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। পেঁয়াজের ঘাটতি মশলা দিয়ে পোষানো হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।

ঈদের আগে মশলার দাম  আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে এই দামে মশলা বিক্রি হলে নিম্নবিত্তরা সংসার চালাতে হিমশিম খাবেন বলেই মনে করছেন ক্রেতারা।

Link copied!