আইএমএফের পরামর্শে শিল্পে গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

আইএমএফের পরামর্শে শিল্পে গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব

ফাইল ছবি

আইএমএফের পরামর্শে শিল্প খাতে গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বাড়াতে চায় সরকার। প্রতি ইউনিটের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। যদিও নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দাতা সংস্থার পরামর্শে ভর্তুকি কমাতেই এমন উদ্যোগ সরকারের।

দুই বছর আগে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পখাতে গ্যাসের দাম ১৭৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়ায়। যদিও সেই গ্যাস সংকট এখনো কাটেনি। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগ। এর মধ্যেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসিতে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছে পেট্রোবাংলা।

তারা নতুন শিল্প সংযোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিট ৭৫ টাকার বেশি প্রস্তাব করেছে। প্রতিশ্রুতি বা ডিমান্ড নোট দেওয়া হয়েছে এমন শিল্পে অনুমোদিত লোডের ৫০ ভাগের বেশি ব্যবহারে এবং পুরোনো শিল্পে অনুমোদিত লোডের বেশি ব্যবহারেও নতুন দর কার্যকরের প্রস্তাব আছে।

ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এতে নতুন শিল্পগুলো বৈষম্যের শিকার হবে এবং বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘দাম বাড়ার কারণ কি? আমরা তো কোনো কারণ দেখছি না। কারণ এখন তো হঠাৎ করে এমন হয়নি যে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম ডাবল হয়ে গেছে। এমন তো হয়নি। আগের সরকার দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে এলএনজি কিনে সরবরাহে বেশি উৎসাহিত ছিল, কারণ সেখানে একটা বড় ধরনের কমিশন বাণিজ্য ছিল। এই সরকারের তো সেই কমিশন বাণিজ্য নেই। তাহলে সেখানে তো দাম আরও কমার কথা।’

নীতি নির্ধারকরা বলছেন, সরকারকে এলএনজি আমদানিতে বড় অংকের ভর্তুকি গুণতে হয়। কিন্তু ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তা নিরুৎসাহিত করছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘আমাদের যে কার্গোগুলো আসে, আমরা তো গ্যাস অনেকখানি ইমপোর্ট করি। এটা যে দামে আসে তার চেয়ে অনেক কম দামে আমরা ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে গ্যাস দিচ্ছি। এটার বিষয়ে দাতা সংস্থাগুলোর খুব সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে যে আমরা যেন আর ভর্তুকি না দেই। কারণ সরকার ক্রমাগতভাবে ভর্তুকি দিতে থাকলে এটা তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রভাব ফেলে।’

পেট্রোবাংলার প্রস্তাব কারিগরি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করবে বিইআরসি। এরপর গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাসের দাম ঘোষণা করা হবে।

Link copied!