বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ার দিক থেকে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছে স্বর্ণ। এরই মধ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪০০ ডলার ছাড়িয়েছে।
শুক্রবার লেনদেনের একপর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ২ হাজার ৪৩১ দশমিক ৫২ ডলারে। তবে গতকালের তুলনায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) এই দাম সামান্য কমে ২ হাজার ৩৪২ দশমিক ৯০ ডলারে নীত হয়েছে। স্বর্ণের বিশেষায়িত ওয়েবসাইট গোল্ড প্রাইসে বিষয়টি উঠে এসেছে।
স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম প্রায় ৩২ ডলার কমেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার ৫১০ টাকা। আউন্সপ্রতি দাম ২ হাজার ৩৪৪ ডলারে স্থির হয়েছে।
চলতি বছরের বিদায়ী মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে শিগগিরই সুদের হার কমাবে না দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। এমন সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান ব্যাপক হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে স্বর্ণের দরে পতন ত্বরান্বিত হয়েছে।
অন্যান্য প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৬ দশমিক শূন্য পয়েন্টে অবস্থান করছে। বিগত ৫ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
রয়টার্সের বরাতে বিজনেস রেকর্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হয়েছিল, আগামী জুনে সুদের হার হ্রাস করবে ফেড। কিন্তু গত মাসে মার্কিন মুলুকে মূল্যস্ফীতি চড়া থাকায় সেই প্রত্যাশা প্রায় উবে গেছে। ওই মাসে এই সম্ভাবনা আছে মাত্র ২৪ শতাংশ।
এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৬৬ শতাংশ। পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, সেটা কমাতে আরও দেরি করবে তারা। তাতে চাপে পড়েছে বুলিয়ন বাজার। সঙ্গত কারণে স্বর্ণের দাম কমেছে।
প্রত্যাশা করা হয়েছিল, আগামী জুন থেকে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তিনবার সুদের হার কমাবে ফেড। কিন্তু এখন সেই সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র দুইবার। সেটাও আদৌ বাস্তবায়িত হয় কিনা, তা নিয়ে দোটানা সৃষ্টি হয়েছে।