ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। এটা অব্যাহত থাকলে জিনিসপত্রের দামও কমে আসবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা মহবিল আইএমএফ। তবে মূল্যস্ফীতি কমার গতি ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ হবে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানায় আইএমএফ।
সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন গতকাল বুধবার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক আউটলুক প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। জাপানের টোকিও থেকে বাংলাদেশ সময় সকাল আটটায় অনলাইনে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি সন্তোষজনক। তবে মুদ্রা তহবিলের শর্ত কতোটা পরিপালন হচ্ছে, তা যাচাই হবে মার্চে।
তিনি বলেন, দুই মাসে আগে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে পর্যালোচনা আমরা করেছি তা সন্তোষজনক ছিল। জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশটিতে হঠাৎ ব্যয় বেড়ে গিয়েছিল। ভাটা পড়েছিল রাজস্ব আহরণে। কিন্তু এখন নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আমার ধারণা, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নানা শর্ত পূরণ করে আইএমএফের ঋণ পাচ্ছে। এর অন্যতম মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। অন্যদিকে আর্থিক খাতে এমন কিছু সংস্কার আনা যা দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখবে। কঠোর মুদ্রানীতি প্রণয়নসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা দেখছি মূল্যস্ফীতিও কমছে। তবে এটি ধরে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ।
আগের ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ সাড়ে ৭ শতাংশ সুদে বন্ড ইস্যু করছে। এই সিদ্ধান্ত যৌক্তিক কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে আর কি বিকল্প ছিল? আইএমএফের ঋণের শর্তের কারণেই বাংলাদেশকে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে, পাশাপাশি অযৌক্তিক ব্যয় কমাতে হবে। এতটুকু বলতে পারি, অর্থ প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশকে গতানুগতিক ধারণা বদলে নতুন কিছু ভাবতে হবে।
ঋণের ৩য় কিস্তি ছাড়ের আগে মার্চে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা দিক খতিয়ে দেখবে আইএমএফ। এমনটাও জানান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এই আঞ্চলিক পরিচালক।