বেটা
প্রতীকী ছবি/সংগৃহীত
কম আয়ের করদাতার রিটার্ন জমা সহজ করতে এক পাতার একটি ফরম প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বার্ষিক করযোগ্য আয় পাঁচ লাখ টাকার কম হলেই এক পাতার আয়কর বিবরণী জমা দিলেই হবে। তবে সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকার কম হতে হবে, এমন শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এক পাতার রিটার্ন ফরমের সুবিধা হলো এখানে শুধু মোট আয়ের তথ্য দিলেই হবে। কোন খাত থেকে কত কর আয় হয়েছে বিস্তারিত লিখতে হবে না। মোট সম্পদ, জীবনযাত্রার খরচ, করের পরিমাণ-এসবের মোট পরিমাণ লিখলেই হবে।
এক পাতার ফরমে সব মিলিয়ে ১৬ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলো নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), সার্কেল, কর অঞ্চল, কর বর্ষ, আবাসিক মর্যাদা, মোবাইল নম্বরসহ যোগাযোগের ঠিকানা, আয়ের উৎস, মোট পরিসম্পদ, মোট আয়, আরোপযোগ্য কর, কর রেয়াত, প্রদেয় কর, উৎসে কাটা করের পরিমাণ (যদি থাকে), এই রিটার্নের সঙ্গে প্রদত্ত কর, জীবনযাপন ব্যয়।
এক পাতায় রিটার্নের জন্য কিছু শর্তও দিয়ে দিয়েছে এনবিআর। যেমন কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হওয়া যাবে না, মোটরগাড়ি থাকবে না সিটি করপোরেশন এলাকায় গৃহসম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ থাকা যাবে না। এছাড়া বিদেশে সম্পদ থাকলেও চলবে না এক পাতার ফরম প্রযোজ্য হবে না।
আগেও এক পাতার ফরম ছিল। তবে এবার নতুন আইনের আলোকে আরও সহজ করা হলো। এখন শুধু মোট আয় ও করের পরিমাণ লিখলেই হয়।
নতুন আইনের আগে স্লিপের মতো আয়কর বিবরণী প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ছিল । রিটার্ন ফরমের একটি অংশ কেটে দেওয়া হতো। এখন থেকে এক পাতার রিটার্ন ফরমের পাশাপাশি এক পাতার আয়কর বিবরণী জমার প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে। সেই প্রত্যয়নপত্রের অনুলিপিও প্রকাশ করেছে এনবিআর।
