দেশের খোলাবাজারে কমেছে ডলারের দাম। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৪ টাকা ২০ পয়সায়। তবুও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে তা বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ১১১ টাকা ১০ পয়সায় ডলার কিনতে পারবে মানিচেঞ্জারগুলো। আর সর্বাধিক ১১২ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করতে পারবে তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে ডলারপ্রতি দর ছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১২৪ টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন মুদ্রাটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ২০ থেকে ৪০ পয়সা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংক ধার্য করা দামের চেয়ে বেশি দরে ডলার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে এক্সচেঞ্জ মালিকরা দাবি করছেন, তারা বেঁধে দেয়া দরই রাখছেন।
আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ১১০ টাকা। এই রেটের চেয়ে খোলাবাজারে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দাম রাখা যাবে। গ্রাহক রহিম মিয়া বলেন, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা করছেন। ফলে ন্যায্য দরে তা পাওয়া যাচ্ছে না। এখন যা কমেছে সেটা সাময়িক বলে মনে হচ্ছে।
তবে ডলারের দাম কমার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে চীনের নতুন বছরের উৎসবকে। প্রতি বছর নতুন বছরকে ঘিরে চীনে উৎসব হয়। এ সময় আমদানি-রপ্তানি প্রায় কমেই আসে। এ কারণে ডলারের দরপতন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের ঐতিহ্যবাহী রাশিচক্র অনুযায়ী চলতি বছর ড্রাগন বর্ষ। দেশটিতে নববর্ষ উদযাপনের মূল অনুষ্ঠান চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।