প্রতীকী ছবি
সফট ড্রিঙ্কস ছাড়া যেন আড্ডা জমেই না। আর সেই সফট ড্রিঙ্কস যদি হয় কোকাকোলা, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। কোকাকোলা না হলে যেন প্রিয়জন কিংবা বন্ধু-সহকর্মীদের আড্ডা জমেই না। যে কোকাকোলা আমাদের আড্ডার অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেটা সেই কোকাকোলা বাংলাদেশে কীভাবে এলো, সেটা কতজনই বা জানি। বেশির ভাগই হয়তো জানি না। আসুন আমরা জেনে আসি বাংলাদেশে কোকাকোলার ব্যবসা বিস্তারের গল্প-
যেভাবে বাংলাদেশে এলো কোকাকোলা: ১৯৬২ সালে কোকা-কোলা তাবানি বেভারেজের (টিবিসিএল) মাধ্যমে ঢাকায় ও কে রাহমানের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রবেশ করে। এখানে উল্লেখ্য যে কোকাকোলা বাংলাদেশে যখন যাত্রা শুরু করেছিল তখন দেশের মানুষ নানা বৈচিত্র্যময় স্বাদ নিচ্ছিলেন, যার ফলে সফট ড্রিঙ্কস হিসেবে খুব সহজেই কোকাকোলা পছন্দ করতে থাকে সবাই। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষের কাছে কোকাকোলা ছিল সবচেয়ে পছন্দের একটি ব্র্যান্ড।
ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার পথে: ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আব্দুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) পানীয় ইউনিট কোকাকোলার ফ্র্যাঞ্চাইজি বোতলজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৮৭ সালে কুমিল্লায় সফট ড্রিঙ্কসটির পূর্ণাঙ্গ বোতলজাতকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করে কোম্পানিটি। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কোকাকোলা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান বাজারের বোতলজাতকরণ, প্যাকেজিং, বিক্রয় এবং বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। এই ব্র্যান্ডের বয়স যখন ২০ বছর পার হয়, তখন বেশ কিছু স্থানীয় পানীয় বাজারে আসে। ধারণা করা হয় আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড তাদের কার্বনেটেড পানীয় বাজারে নিয়ে আসে।
বাজার সেরা হয়ে ওঠা: কোকাকোলার বাজার ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করতে থাকে। ১৯৯০ সালে টিসিসিসি (কোকাকোলা কোম্পানির সংক্ষিপ্ত রূপ) বাংলাদেশের বাজারের ৭০ শতাংশ দখল করে অপ্রতিদ্বন্দ্বী সফট ড্রিঙ্কস ব্র্যান্ডে পরিণত হয়।
সফট ড্রিঙ্কসের বাজারে আধিপত্য: ২০১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) বাংলাদেশে টিসিসিসির বোতলজাতকারী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে, যা সফট ড্রিঙ্কস ব্র্যান্ডের ধারাবাহিক সাফল্যেরই নিদর্শন। তখন দেশীয় ব্র্যান্ডের পানীয় থাকা সত্ত্বেও মানুষ কোকাকোলার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং পানীয়টি পছন্দ করে। আর ভোক্তার আগ্রহই তাদের ব্র্যান্ডের আধিপত্য বিস্তারে সহায়তা করেছে।