ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০২:২২ এএম
১৪ ফেব্রুয়ারি। একই সাথে পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং স্বরস্বতী পূজা তিনটি উৎসব ছিল। এদিন অমর একুশে বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গন। তবে, আগত দর্শনার্থীর তুলনায় বইবিক্রি কম হয়েছে বলে আক্ষেপ বিক্রয় বিক্রেতাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা প্রাঙ্গনে সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় বইবিক্রেতাদের আক্ষেপের কথা।
মিজান পাবলিশার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি সুরাইয়া বলেন, ‘গতকাল পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং স্বরস্বতী পূজো ছিলো। একসাথে তিনটি উৎসব উপলক্ষে আমাদের অনেক আশা ছিল। তবে, বিপুল মানুষের সমাগম হলেও আশানুরূপ ফলাফলটি পাইনি। বইমেলায় অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছে, কেউ কেউ ছবি তুলতে এসেছে আবার কেউ কেউ বইও কিনতে এসেছে। তবে ক্রেতাদের সংখ্যা ছিল খুবই কম।
একই আক্ষেপ প্রকাশ করেন ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের সোহাগ আলমও। তিনি বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বই বিক্রিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। বেশিরভাগ মানুষজন বইমেলায় শুধু ঘুরতে আর ছবি তুলতে আসে। বই বিক্রি হয়েছে কিন্তু, তবে সেটি সন্তোষজনক নয়। বইমেলায় বই দেখার জন্য ও বই কেনার জন্যই আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন সোহাগ।
অথচ ১৪ ফেব্রুয়ারিতে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায়। রীতিমতো যানজট ও মানবজটের সৃষ্টি হয় এই এলাকায়।
রাজু ভাস্কর্য ও কার্জন হল এলাকা দিয়ে বইমেলায় প্রবেশের গেট দুটোতে ছিল বেশ ভিড়। দীর্ঘ লাইন ধরে বইমেলায় পা রেখেছেন অনেকে। এদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মই বেশি দেখা যায়।