আয়কর বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। রবিবার (১৮ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কর্তৃক প্রস্তাবিত বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
জাতীয় সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
প্রস্তাবে, অর্থমন্ত্রী বলেন বাংলায় সহজবোধ্য করে আইনটি করা হচ্ছে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। কিন্তু কারও ওপর জোর করে চাপিয়ে দিয়ে সেটা করা যাবে না। ২০০৯ সালে রাজস্ব আদায় ছিল ৫৯ হাজার কোটি টাকা। এখন সেটা ছয় গুণ বেড়েছে। এখানে সরকার খুব খারাপ করেছে তা নয়। আবার খুব ভালো করেছে সেটাও না।
বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, কর আদায়ের পদ্ধতি ডিজিটাইজড করতে খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। আর এতে দেড় লাখ কোটি টাকা কর আদায় বাড়বে। কিন্তু এটি করা হচ্ছে না। এই টাকাটা ঘুষে চলে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, ঘুষ ছাড়া এনবিআরে কোনও ফাইল চলে না। এনবিআরই ডিজিটাইজেশনে বাধা।
এসময় বিলটির বিরোধিতা করে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রওশন আরা মান্নান, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও কাজী ফিরোজ রশীদ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।
কন্ঠভোটে তাদের সেই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।