কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সঙ্কট থাকলেও ফুটপাতে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন নোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২০, ২০২৩, ০৫:০৩ এএম

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সঙ্কট থাকলেও ফুটপাতে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন নোট

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত বছরের তুলনায় এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কম পরিমাণে নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে। তাই শুরু থেকেই টাকা সংগ্রহে বেশ বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে। তারপরও অনেকে নতুন নোট না পেয়ে ফিরে গেছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নতুন নোট নেই বললেও ব্যাংকের একটু সামনে ফুটপাতে নতুন নোট বিক্রি হচ্ছে অহরহ। আর বেশ রকর্ড চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে নতুন নোটের বান্ডিল।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০. ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোটের এক বান্ডিল (১০০ পিস) নকিনতে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। অথচ গত বছর দেখা যায়, একই পরিমান নোট ফুটপাতে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে।  

১০, ২০ ও ৫০ টাকা মানের নতুন নোটের এক বান্ডিল (১০০ পিস) বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত ২৫০ টাকা দরে; যা এ পর্যন্ত রেকর্ড দাম বৃদ্ধি। গতবছরও এসব নতুন নোট সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বেশি দামে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত বছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়লেও এবারের চিত্র ভিন্ন। এবছর নতুন নোট ছেড়েছে মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকার। কম ছাপানোর কারণে নতুন নোটের সঙ্কটে পড়েছেন অনেকে। এর প্রভাব পড়েছে ফুটপাতে টাকা বিক্রি হওয়া দরের উপর। ফুটপাত থেকে ক্রেতারা রেকর্ড পরিমাণ চড়া দাম দিয়ে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন।  

গত ৯ এপ্রিল থেকে নতুন টাকার নোট বিনিময় শুরু করার সময়  বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, এবারের ঈদ-উল ফিতরে ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে; যা বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিময় করা হবে। প্রয়োজনে আরো বেশি পরিমাণে নতুন নোট বাজারে ছাড়ার কথাও জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের বারের চেয়ে এবার নতুন নোট কম ছাড়ার কারণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘চাহিদা থাকায় ১০, ২০ ও ৫০ টাকা মানের নোট বেশি গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট আমাদের (বাংলাদেশ ব্যাংক) স্টকে ছিল। এখন তার চেয়ে বেশি বা কম ছাড়া হয়েছে কি না, সঠিক হিসাব এখনো করা হয়নি।”

প্রসঙ্গত, আইনে মুদ্রা বিক্রয় অপরাধ এবং বাংলাদেশের অনুমোদিত মুদ্রার বিনিময় করতে অতিরিক্ত কোনো ফি, চার্জ বা অর্থ নিতে পারবে না কেউ। তারপরও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফটকের সামনেসহ একাধিক স্থানে নতুন টাকা বিক্রি হচ্ছে সারা বছর ধরেই। আর এবছর বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা কম ছাপানোর কারণে নতুন নোট বিক্রেতাদের ব্যবসা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে।

Link copied!