এপ্রিল ২৭, ২০২২, ০১:৪৯ পিএম
উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখতে এবং আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বজায় রাখতে চাহিদা অনুযায়ী চলতি মূলধন ঋণসীমা বাড়াতে পারবে ব্যাংক।
ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগম স্বাক্ষরিত সার্কুলারে বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন উপকরণের মূল্য বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। ফলে ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ইতোমধ্যে মঞ্জুরীকৃত চলতি মূলধন ঋণ সীমার সর্বোচ্চ ব্যবহার সত্ত্বেও চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য পরিশোধ এবং উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এতে উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানিসহ চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখা এবং আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজার রাখতে ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে ইতোমধ্যে মঞ্জুরীকৃত চলতি মূলধন ঋণ সীমা প্রয়োজন বিবেচনায় অন্তর্বর্তীকালীন ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ ঝুঁকি নিরসন বা হ্রাস করে এবং গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করে যৌক্তিক পর্যায়ে বাড়ানো যাবে।
এর আগে চলতি এপ্রিল মাসে চলতি মূলধন ঋণসীমা অন্তত ৪০ শতাংশ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর একটি চিঠি দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
ওই চিঠিতে এফবিসিসিআই সভাপতি লিখেন, বিরাজমান কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্য ও জাহাজ ভাড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কাঁচামাল, শিপিং, যাবতীয় লেনদেন চার্জসহ অন্যান্য খরচ বাড়ার কারণে দেশের উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।