স্বাধীনতার ৫০ বছরেই পাকিস্তানের মুদ্রা রূপিয়ার দ্বিগুণ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের টাকা। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) মুদ্রা বিনিময়ের সূচক এক্সচেঞ্জার ডট কমের মতে এদিন বাংলাদেশের টাকার মান পাকিস্তানের রূপিয়ার দ্বিগুণ হয়েছে।
গত এক মাস যাবতই প্রায় দ্বিগুণ হবার পরিস্থিতি ছিল। জুলাই মাসে গড়ে ১ রূপিয়ার বিপরীতে ০.৫৩ টাকা ছিল। তবে গত ৪ আগস্ট তা ০.৫২ টাকায় চলে আসে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ১ রূপিয়ার বিপরীতে টাকার পরিমান ০.৫০ টাকা হয়।
মাথাপিছু আয় ও জিডিপি পাকিস্তানের কয়েকগুণ
১৯৭২ সালে দেশে মাথাপিছু আয় ছিল ১২৯ ডলার। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২০৬৪ ডলার। এ ৪৯ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬ গুণ। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে পাকিস্তানে বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১১৩০ ডলার। পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মাথাপিছু আয় এখন আমাদের।
১৯৭১-৭২ অর্থবছরে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক। দেশটিতে -১২.৬ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলেও ১৯৭১-৭২ অর্থবছরেও জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয় ২.৭৫ শতাংশ। বর্তমানে করোনাকালেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের জিডিপির প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। এই অর্থবছরে ০.৪ শতাংশ কমেছে পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি।
রেমিট্যান্সেও অগ্রগামী বাংলাদেশ
দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ রেমিট্যান্সের পরিমাণ স্বাধীনতার সময় ছিল মাত্র ৮০ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেছে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের আকার ২ হাজার কোটি ডলার হবে বলে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ক্রমাগতভাবে বাড়ছেই। গত নভেম্বর মাসেই এসেছে ২০৭ কোটি ডলার। স্বাধীনতার পর দেশে রিজার্ভে বলতে গেলে কোনো ডলারেই ছিল না। সর্বশেষ তথ্যানুসারে বাংলাদেশে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার রিজার্ভ রয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছে মাত্র ২ হাজার ৮০ কোটি ডলার। দেশে বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা ৪৩টি। পাকিস্তানে রয়েছে ২২টি ব্যাংক।