আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা বন্ধ থাকলেও এর আগেই স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়ে আংশিক আকারে কারখানা খুলতে চায় মালিকরা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি প্রদান করা রয়েছে বলে জানায় এই খাত সংশ্লিষ্টরা।
শতাধিক কারখানায় বেতন বাকি
শিল্পপুলিশের তথ্যানুযায়ী আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় প্রায় ৩ হাজার ১০০ পোশাক ও বস্ত্র কারখানা রয়েছে। এসব কারখানা পোশাক শিল্পমালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এবং বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সদস্য। এর মধ্যে অনেক কারখানা ঈদের বোনাস দিলেও বেতন বকেয়া রেখে দেয়। এর মধ্যে গাজীপুরের ২১ টি, সাভার – আশুলিয়ার ৩৬ টি, নারায়নগঞ্জের ৪৭ টিসহ বিভিন্ন স্থানের শতাধিক কারখানায় জুলাই মাসের বেতন দেয়া হয়নি। এর মধ্যে অনেকেই বোনাস পর্যন্ত দেয় নি।
পহেলা আগস্ট কারখানা খুলতে চায় ব্যবসায়ীরা
গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেকেই এবারে বাড়ি যায়নি। এছাড়া মানিকগঞ্জ, সাভার, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় পোশাক শ্রমিক রয়েছে। তাই সরকার অনুমতি দিলে তাদের নিয়েই আংশিক কারখানা চালু রাখতে চাচ্ছে বিজিএমইএ। বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ঈদের পর এক সপ্তাহ এমনিতেই কারখানাগুলো পুরোভাবে চলে না। তবে এখন আমাদের হাতে অনেক অর্ডার আছে। তাই পুরোপুরি কারখানা না খুলে আংশিক খুললেও আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হবেনা।
তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করলেও ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে লকডাউন আসছে তা কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। সেসময় বন্ধ থাকবে গার্মেন্টস, শিল্প-কলকারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান।
শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণ কম
দেশের পোশাক শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু নেই বলে দাবি করেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বারবার বলেছি যে তাদের কাছে পোশাকখাত শ্রমিকদের আক্রান্ত হবার তথ্য আছে কিনা। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোন সঠিক তথ্য পাইনি। যদি পোশাক শ্রমিকরা আসলেই আক্রান্ত হয় তাহলে সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু আমাদের তথ্য মতে কোন শ্রমিকরাই এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি।
২৭ জুলাই কারখানা চালু হচ্ছে না
ঈদের আগেই পোশাক কারখানা মালিকরা ২৭ জুলাই কারখানা চালুর দাবি করেন। এই মর্মে অনেক কারখানাই আলাদা নোটিশ দিয়েছিল তাদের শ্রমিকদের। তবে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এখনই কোন কারখানা খুলতে দেয়া হবে না বলে জানায় বিজিএমইএ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা এখনও কারখানা চালুর দাবি করছি। কিন্তু যেহেতু সরকারি কোন নির্দেশনা নেই তাই তা অমান্য করছি না। যদি সরকার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত দেয় হোক তা আংশিক বা সীমিত আকারে তাহলে আমরা চালু রাখতে বলব।